বন্যা মোকাবেলায় সচেতনতা হোক পূর্বপ্রস্তুতির চাবিকাঠি
- আপলোড সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ০৮:২০:০৬ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ০৮:২০:০৬ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে দেশের নানা অঞ্চলে বন্যা একটি নিয়মিত দুর্যোগ হিসেবে দেখা দেয়। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে আগাম বন্যা একটি বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়। এ বাস্তবতায় সদ্য অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসনের আয়োজিত আগাম বন্যা মোকাবেলা বিষয়ক সভাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং কার্যকর উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।
সভায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সচেতনতা তৈরির ওপর যে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কারণ, দুর্যোগের সময় বাস্তব প্রস্তুতির চেয়েও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে গুজব বা ভয়ের সৃজন। সঠিক তথ্য এবং দিকনির্দেশনা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলোর একটি। প্রশাসন, গণমাধ্যম এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিতভাবে এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে।
আমরা মনে করি, বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের ভূমিকা হতে হবে বহুমাত্রিক। আগাম সতর্কবার্তা প্রদান, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, খাদ্য ও ওষুধের মজুত নিশ্চিত করা এবং উদ্ধার তৎপরতায় প্রস্তুত থাকা - এই প্রতিটি পদক্ষেপই আগাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর পাশাপাশি জনসাধারণের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যকর গণযোগাযোগ গড়ে তোলা আবশ্যক। এক্ষেত্রে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংগঠনগুলোকেও সক্রিয় রাখতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণের অংশগ্রহণ যত বাড়বে, ততই সফলতা আসবে। বন্যা প্রতিরোধ নয় - বরং মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রস্তুতি, সহযোগিতা ও মানবিক সংবেদনশীলতাই পারে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে।
আমরা মনে করি, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে যেন তৃণমূল পর্যায়ের জনগণও আশ্বস্ত বোধ করে। সর্বোপরি, বন্যা মোকাবেলায় আতঙ্ক নয়, সচেতনতা, সমন্বয় ও সহমর্মিতাই হোক আমাদের প্রধান শক্তি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ